আজ মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজীতে আস্থা আ’লীগে বিএনপিতে দীপু

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পাঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নতুন পুরনো মিলিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে ১১ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। রূপগঞ্জ থেকে দুইবারের নির্বাচিত এমপি গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতিক) ব্যাপক উন্নয়ন কাজের মূল্যায়ন করে গাজীতেই অধিক আস্থা রাখছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ। অপরদিকে এই আসনে বিএনপি থেকে শক্তিশালী ৩জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। প্রার্থীতার লড়াইয়ে পুরনোদের টক্কর দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বয়সে শিল্পপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হারানো আসন পুনরুদ্ধারে দিপুর উপরই ভরসা করছেন। দুইদলের এক ডজনের বেশি প্রার্থীর প্রচারনায় নির্বাচনী ঝড় বইছে উপজেলার অলিগলিতে। দোয়া-শুভেচ্ছার ব্যানার ফেস্টুন আর পোষ্টার সাটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে অনেকে উপজেলার নেতাকর্মীদের নিজেদের পক্ষে নিয়ে এলাকায় প্রচার-প্রচারনা, গণসংযোগ আর সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সচেষ্ট হচ্ছেন। কেউ দৌড়াচ্ছেন হাইকমান্ডে। সাধারণ ভিআইপি আর ভিভিআইপি এই তিন ক্যাটাগরিতেই প্রার্থী রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত এই দৌড়ে দু-দল থেকে ৩-৪ জনের অধিক টিকবে না বলে স্থানীয়দের ধারনা। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে অনেক আগে থেকেই বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।

জানা যায়, ভিআইপি আসন হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নিক্ষুতভাবে প্রার্থী বাছাই করতে হয় দলের হাই কমান্ডকে। কথিত রয়েছে রূপগঞ্জ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন, সেই দলই সরকার গঠন করে। এটা বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এ আসনে নির্বাচিত এমপিদের মাঝে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল কেএম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) ছিলেন সর্বাধিক জনপ্রিয়। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার ভোটের  ব্যবধানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো । কিন্তু নবম সংসদ নির্বাচনে মতিন চৌধুরী নির্বাচনে না আসায় এবং সফিউল্লাহ মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতিক) লড়াই হয়। সে নির্বাচনে পাল্টে যায় ভোটের সকল হিসেবপত্র। কাজী মনিরকে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন গাজী। এরপর সপ্তাহে তিনদিন এলাকায় সাধারণ মানুষকে সময় দিয়ে আর উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডাঃ শওকত আলীকে দেড় লাখেরও অধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেন এই এমপি। তার জনপ্রিয়তার কারণে রূপগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র তারাব পৌরসভা থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন গাজীর সহধর্মীনি হাসিনা গাজী। কিন্তু চলতি সময়ে বিভিন্ন কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের চালিকাশক্তি খ্যাত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়ার সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বের জেরে তৃনমূল নেতাকর্মীরাও দুই বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলার সতের’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের মধ্যে শুধু ছয়’শ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে উপজেলার চিত্র বদলে গেছে। রূপগঞ্জে তৈরী হচ্ছে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু আর ৪ লেনের উড়াল সেতু। সড়ক, কালভার্ট, সেতু, ব্রিজ সংস্কার ও নির্মাণে দিন দিন নতুন সাজে সেজেছে রূপগঞ্জ। গাজী প্রতিনিয়তই এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটাছুটি করেছেন। চাকুরি দিয়েছেন রূপগঞ্জের শতাধিক বেকারকে। নারীদের রাজনীতিতে সক্রিয় করেছেন। মনোনয়ন দৌড়ে তার নামই রয়েছে তালিকায় সবার উপড়ে। এছাড়া দলীয় হিসেবপত্রের উর্ধ্বে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি ও সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম)। কিন্তু বয়সের ভারে নতুজান এই নেতা দির্ঘ দিন এলাকার বাহিরে অবস্থান করার কারনে স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ অনেকটাই এগিয়ে রাখছেন এমপি গাজীকে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আব্দুল হাই ভুঁইয়া গ্রহণযোগ্য নেতা। দুঃসময়ে-সবসময়ে দলকে গুছিয়ে রাখার বিবেচনায় শাজাহান ভূইয়া নিজেও পেতে পারেন মনোনয়ন। এছাড়া আওয়ামীলীগ নেতা মেজর (অবঃ) মসিউর বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বাবু, ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার খান মোঃ শামীম আজিজ, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল ফজল রাজু, কেন্দ্রীয় মহিলালীগ নেত্রী ডাঃ খালেদা আক্তার আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে রূপগঞ্জ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাউছিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। অন্তকোন্দলে জর্জরিত উপজেলা বিএনপিতে পদ বহনকারী নেতারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। ২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে কাজী মনিরুজ্জামান পরাজিত হন। এ কারণে বিএনপির একটি বড় অংশ ও সাধারণ ভোটাররা তাঁর প্রতি আস্থা হারিয়েছেন।

অপরদিকে মনোনয়ন দৌড়ে মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। তরুন এই শিল্পপতি দলের দুঃসময়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তাদের মামলা-হামলা থেকে উদ্ধারসহ বিভিন্ন ভাবে সহয়তা করে এবং রাজপথে সক্রিয় থেকে উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে তার অবস্থান শক্তিশালী করে ফেলেছেন। এছাড়া হাস্যজ্জল দিপু ভুঁইয়া উপজেলা যুব সমাজের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তি। দলের ১০ হাজার নেতাকর্মীর বিশাল বাহিনী রয়েছে দিপুর নিয়ন্ত্রনে। তারা অল্প সময়ের নোটিশে উপজেলায় যে কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ডের আয়োজন করতে পারে। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থীর সঙ্গে এখানে লড়াই করতে একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মোস্তফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুকেই মনে করছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। শিক্ষা ও ব্যবসা ক্ষেত্র ছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু তৎকালীন পাকিস্তান আমলে ধর্নাঢ্য বাইশ পরিবারের এক পরিবারের সন্তান। এখনো এ পরিবার রূপগঞ্জের প্রতিটি গ্রামের মসজিদ মাদরাসা ও স্কুল-কলেজের উন্নয়নে অংশিদার থাকেন। তাছাড়া দিপু ভুঁইয়ার মালিকানাধীন গাউছিয়া মার্কেটে রূপগঞ্জের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের লোক ব্যবসা করছেন। এ জন্য ভোটের হিসেবে রূপগঞ্জের সর্বত্রই রয়েছে দিপু ভুঁইয়া ভোট ব্যাংক।

এদিকে বারবার কারা নির্যাতিত রূপগঞ্জের সন্তান ও বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবার রূপগঞ্জ আসন থেকে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন। এতোদিন জেলা কেন্দ্রিক রাজনীতি করা তৈমুর আলম নিজের জন্মভূমি রূপগঞ্জের মাটি ও মানুষের ভালোবাসার টানে এই আসনে বিএনপি থেকে দলের প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন বলে দাবি করেন। জেলা বিএনপির রাজনীতিতে সবচেয়ে ত্যাগী প্রবীন এই রাজনীতিবিদ দলের হাইকমান্ডে ব্যাপক জনপ্রিয় ও পরিক্ষিত নেতা হিসবে পরিচিত। দল ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় রূপগঞ্জের প্রায় ৪‘শ যুবককে বিআরটিসিতে চাকুরি দিয়ে জেল খেটেছেন। এজন্য রূপগঞ্জের তৃনমূল পর্যায়ে রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। মূলত এই তিন নেতার বদয়ে তিনভাগে বিভক্ত রয়েছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন।

দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন রূপগঞ্জের মানুষের ধারনা রূপগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামীলীগে অপ্রতিরোধ্য প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। কোন কারণে দলীয় সিগ্ধান্তের হেরফের হলে সেক্ষেত্রে ক্ষমতার বিবেচনায় সায়েম সোবাহান আনভীর পেতে পারেন নৌকার টিকেট। তবে সেটা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে করতে হবে দলকে। সাধারণ মানুষ নৌকাতে গাজীকেই দেখতে চান।

এ ব্যাপারে গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দলের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আর বিশ্বাস আছে। ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ, এক’শ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর মুড়াপাড়া সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ফ্লাইওভার ও শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদীর দুই পাড়ের মানুষের ভাতৃত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মতপার্থক্য রয়েছে দাবি করে গাজী বলেন, যে কজন আলাদা বলয়ে আছে আশা করি তাদের সাথে কোন্দল থাকবে না।

কেএম সফিউল্লাহ বলেন, আমি রাজনীতিতে নেমেছিলাম সাধারণ মানুষের জন্য। তারা যদি আমাকে আবারো প্রয়োজন মনে করে তবে অবশ্যই দলের নমিনেশন চাইবো।

শাজাহান ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে ও দলের দুঃসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে আসছি। এমনকি দু’বার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। রূপগঞ্জের মানুষ আওয়ামীলীগে নতুন প্রার্থী দেখতে চায়। তাই তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান জানান, যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ১/১১ এ দলের দুঃসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করায় কেন্দ্রিয় বিএনপি থেকেও মূল্যায়ন পেয়েছি। বৈরী পরিবেশে নির্বাচন করেছি। উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে।

মোস্তফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু জানান, তিনি সবার চেয়ে তরুণ। কর্মক্ষমতা প্রবীণদের চেয়ে তার বেশি আছে। তার মালিকানাধীন গাউছিয়া মার্কেটে ৭ হাজার দোকানে রূপগঞ্জেরই ১৫ হাজার পরিবারের লোকজন ব্যবসা করে আসছেন। পাকিস্তান আমলে ঘোষিত ধর্নাঢ্য বাইশ পরিবারের মধ্যে ভুঁইয়া পরিবারের সন্তান তিনি। তার চাচা দুইবার রূপগঞ্জের এমপি ছিলেন। রূপগঞ্জের প্রতিটি এলাকায় তাদের পারিবারিক অনুদানে মসজিদ মাদ্রাসা আর এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসেবে রূপগঞ্জের সর্বত্রই তার পরিচিতি ব্যাপক। এ ছাড়াও ভুলতা, মুড়াপাড়া, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন ও ভোলাব ইউনিয়নে রয়েছে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেলে দলের বাইরেও নিরপেক্ষ লোকজন দিপু ভুঁইয়াকে সর্মথন দেবেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনকে সুসংগঠিত রেখে দলের জন্য কাজ করছেন তিনি। রূপগঞ্জ বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখায় মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদি তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশায় উঠান বৈঠক ও সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, বর্তমানে রূপগঞ্জসহ জেলা বিএনপিতে কোন্দল অনেকটা প্রকাশ্য। তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়ে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। বিএনপির রাজনীতি করে জীবনের অর্ধেক সময় তার জেলে কেটেছে। শরীরে এখনো বুলেট রয়েছে। হারিয়েছেন আপন সহোদরকে। সর্বশেষ মাটি ও মানুষের টানে রাজনীতি করছেন। ২০০৬ এ বাতিল হওয়া নির্বাচনে দলের নমিনেশন পেয়েও জেলে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। এসব ত্যাগের কারণে দল তাকে নমিনেশন দিবে বলে দলের হাইকমান্ডের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ